বেনাপোল (যশোর)অফিস
প্রতিবেশী দেশ ভারত যেতে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীর কোলাহলে পূর্ণ এখন দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় অনেকে যেতে পারেনি ভারতে। সম্প্রতি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হওয়ায় ভারতে যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ দিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ২০ হাজার ৪৮০ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টযাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী ১০ হাজার ৫৮৫ জন। আর ভারতসহ অন্য দেশের যাত্রী গেছেন ২ হাজার ৮৪৯ জন। একই সময়ে ভারত থেকে এসেছেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৫ হাজার ১০৯ জন। আর ভারতসহ অন্য দেশের যাত্রী এসেছেন ১ হাজার ৯৩৭ জন। যা গত দুই সপ্তাহের দ্বিগুণ যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চেকপোস্ট কাস্টমস ইমিগ্রেশনে গিয়ে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। ইমিগ্রেশন থেকে দীর্ঘ লাইন চলে গেছে ২৫০ গজ বাইরে। যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল করেছে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রী। এতে ৫০ জনের বসার সিট রয়েছে টার্মিনালের ভেতরে। অথচ এ পথে প্রতিদিন তিন হাজার থেকে চার হাজার যাত্রী ভারতে যায়। যাত্রীরা টার্মিনাল ফি দিয়েও বাইরে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে। দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীসহ বৃদ্ধরা।
নজরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এর আগে কোনো দিন এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। ট্যুরিস্ট ভিসায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ভারত যাচ্ছে। তবে রোগীদের জন্য আলাদা একটি লাইন করলে ভালো হতো।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু জাগো নিউজকে বলেন, এর আগে চার-পাঁচশ’ যাত্রীর আসা-যাওয়া ছিল। গত তিনদিনে তা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারত সরকার ভ্রমণ ভিসা দেওয়ায় আরও যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীসেবার মান বেড়েছে। দ্রুত যাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে এর জন্য ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।