
আবু নাবিল ॥
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ…। আপনাকে আজ বিলিয়ে দে তুই আসমানে তাগিদ…। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ফিতর মানে ভঙ্গ করা। ঈদুল ফিতরের অর্থ রোজার সমাপ্তি ঘটানোর আনন্দ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা, তারাবির নামাজ, যাকাত, ফিতরা আদায়ের পর মুসলিম উম্মাহ রোজা ভঙ্গ করে মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নিয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ যে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন তাই ঈদুল ফিতর। এই আনন্দ কর্মশেষে সাফল্যের আনন্দ। এই আনন্দ প্রাপ্তির আনন্দ। এই আনন্দ আল্লাহর সান্নিধ্য ও ঘনিষ্ঠতা অর্জন, তাকওয়া অর্জনের সাফল্যের আনন্দ। ঈদের এই আনন্দ রোজাদারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এই আনন্দ অনেকটা সর্বব্যাপী ও সার্বজনীনতায় রূপ নেয়। ঈদ আনন্দ রূপ নেয় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উৎসবে।
এক মাস সিয়াম সাধনার অনাবিল আনন্দের পূর্ণতা পায় ঈদের মাধ্যমে। ঈদের এই আনন্দ আল্লাহকে পাওয়ার আনন্দ। এ আনন্দ পরকালীন জীবনের জন্য শান্তি ও মুক্তি লাভের এক অনন্য আধ্যাত্মিক অনুভূতির নাম। তাই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের রমজান শেষে শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখামাত্রই খুশির জোয়ার বয়ে যায় প্রতিটি রোজাদারের দেহ মনে। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে ধনী-গরীব, ছোট বড় সবার মধ্যে। প্রতিটি প্রাণে দোলা দেয় ঈদ আনন্দ। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব। দিনটি মুসলমানদের জন্য বরকতময়ও। মানবতার মুক্তির দিশারি হজরত মুহাম্মদ সা: ঈদের প্রচলন করেন। বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে এসেছে- ‘মহানবী সা: বলেছেন, প্রত্যেক জাতিরই উৎসবের দিন আছে। আর আমাদের উৎসব হলো ঈদ।’ হিজরি দ্বিতীয় সন থেকে মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা ঈদগাহে সমবেত হন দলে দলে। একই কাতারে দাঁড়িয়ে আদায় করেন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ। এরপর সবাই একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করেন। ভুলে যান সব ভেদাভেদ। ধনী-গরীব, ছোট-বড়, শত্রু-মিত্র সবাই কাঁধে কাঁধ মিলান। একে অন্যের বাড়িতে গিয়ে, সাক্ষাৎ করে ঈদ কুশল বিনিময় করেন, সবাই সবাইকে সাধ্যমত আপ্যায়ন করেন। সবাইকে ঈদ মোবারক। স্বাগত ঈদুল ফিতর :