
স্টাফ রিপোর্টার :
নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব ধরনের পন্যসামগ্রীর অগ্নিমুল্যে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত লাাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে প্রতিটি জিনিষের দাম। আজ রাত পযর্ন্ত এক দাম তো কাল সকালেই আরেক দাম। ব্যবসায়ি দোকানদাররা বলছেন আমাদের কিছু করার নেই। মোকামে সংকট, দাম বেশি দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের লেলিহান শিখার মত যেন দাউ দাউ করে জ¦লে উঠছে নিত্যপন্যেও দামের আগুন। আর তাতে মানুষ পুড়ে খাক হচ্ছে। এরই মধ্যে সোয়াবিন তেলের দাম শুধু দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গতকালও খুচরা বাজারে খোলা সোয়াবিন প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চিনি ৮০,ডাল (মশুর) ১১০-১২০,চাল (কাজল লতা)৫৮, মিনিকেট ৬২,মোটা চাল ৩৮-৪০ টাকা,মসলার দামতো ইচ্ছেমত হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে,যেন অরাজকতা,মুরগী দেশি ৪৫০ টাকা,সোনালি ৩৫০,গরু ৬৫০-৬৮০,খাশির গোশত ৯০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রসাধনি পন্য,স্যানিটারি, ফিটিংস,পাইপ,রং,ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি,ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য, নির্মান সামগ্রী মোট কথা এমন কোন জিনিষ নেই যার দাম প্রতিদিনই বাড়ছে না। যার ফলে মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্ত,গরীব,অসহায়,বেকার কর্মহীন মানুষের জীবন বড়ই দর্বিসহ হয়ে পড়েছে। খেয়ে না খেয়ে নীরবে অতি কষ্টে দিন পার করছে মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষেরা যে আয় করছে তাতে পরিবারের খাদ্য চাহিদা মিটাতে গিয়ে হিম সিম খাচ্ছে। কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য জিনিষ জুটছে না। ঈদ-উৎসব তাদের মনে আনন্দেও চেয়ে কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারন পরিবারের জন্য নতুন কিছু কিনে দেয়ার ব্যর্থতা তাদের মনের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে পরিবারের চাহিদা পুরনে ব্যর্থ হয়ে অন্য সদস্যদেও মধ্যে অনিহা সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবারের অভিভাবক হিসেবে সবার কাছে অথর্ব বনে যাচ্ছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাজারের এ অবস্থার পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা তো নে-ই বরং শেষ কোথায় গিয়ে থামবে এমন হতাশা সবার মনে। মানুষ বলাবলি করছে, নিত্যকার খাদ্যপন্যসহ জিসিষের দাম যেভাবে হু হু কওে বাড়ছে তাতে কৃষক,শ্রমিক,দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি,বেকার কর্মহীন মানুষের জীবন জিবীকা কঠিন হযে পড়েছে। মানুষ বলাবলি করছে যে বর্তমানে দ্রব্যমুল্যেও এই কষাঘাতে একমাত্র ভালো আছে চাকরীজীবিরা। আগের চেয়ে দিগুন বেতন-ভাতা, উৎসব ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা পেয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন তারা। এতে করে সমাজে এক ধরনের নিরব আর্থিক বৈষম্যতার সৃষ্টি হয়েছে। আর অধিকাংশই চাকরীবিহীন মানুষের মন হতাশার অন্ধকারে হাবু ডুবু খাচ্ছে।